ভৈরবের মেঘনায় যাত্রীবাহি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ইউপি সদস্য শহীদ গ্রেফতার


admin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১, ২০২২, ১:০৬ অপরাহ্ন /
ভৈরবের মেঘনায় যাত্রীবাহি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় ইউপি সদস্য শহীদ গ্রেফতার

# মোস্তাফিজ আমিন :-

ভৈরবের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহি ট্রলারে ডাকাতির ঘটনায় আগানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) শহীদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১ আগস্ট সোমবার দুপুরে আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ। গ্রেফতারের পর ট্রলার ডাকাতির সাথে জড়িত বলে শহীদ স্বীকার করেছেন বলে জানায় পুলিশ। এর আগে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার জাফরনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানাযায়, স্থানীয় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীরা ৩১ জুলাই রোববার হাওরের নিকলী এলাকায় ট্রলারে করে ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে বিকেলে ভৈরবের মেঘনা নদীর লুন্দিয়া এলাকায় ডাকাতদের কবলে পড়ে। এসময় ডাকাতরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ১৪টি মোবাইলসেট ও প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডাকাতিকালে ছাত্রলীগ নেতারা শহীদ মেম্বারকে চিনতে পারেন।
ভৈরব এসে তারা বিষয়টি ভৈরব নৌ-থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতেই ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের জাফরনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। পরে আজ সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহীদ মেম্বারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতরের পর শহীদ ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তার অপর ৪ সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছে। এরা হলো-মিজান, লিটন, মামুন ও গরু তাহের। এই ঘটনায় ভৈরব নৌ-থানায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মাকসুদ হাসান মুন্না।
ছাত্রলীগ নেতা মাকসুদ হাসান মুন্না বলেন, রোববার আমরা ১০/১২ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী হাওরের নিকলী এলাকায় একটি ট্রলারে করে ভ্রমণে যাই। ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে মেঘনা নদীতে ডাকাতের কবলে পড়ি। ডাকাতরা আমাদের ১৪টি মোবাইল ও প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের লাঠির আঘাতে এ সময় আমাদের দুই বন্ধু আহত হন। পরে আমরা নৌ-পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করি। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য ডাকাত শহীদকে আমরা চিনতে পারি। সে ডাকাতির সময় আমাদের মারধোর করে।
ভৈরব নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি উদ্ধার করি। আজ সোমবার দুপুরে ইউপি সদস্য ডাকাত শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। সে ডাকাতির কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাকসুদ হাসান মুন্না থানায় পাঁচ ডাকাতসহ অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।