ভৈরবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আওয়ামী লীগ জনগণের পকেট কাটার দল


admin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৭, ২০২২, ১২:১১ অপরাহ্ন /
ভৈরবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আওয়ামী লীগ জনগণের পকেট কাটার দল

# মোস্তাফিজ আমিন :-

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন-বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জনগণের পকেট কাটার দল। দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ^াস করে জনগণের পকেট কেটে কোটি কোটি বিদেশে পাচার করছে। দলটির নেতা-কর্মী, এমপি-মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ ডুবে গেছেন। তাই তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। দেশ ও জনগণের বিষয়ে ভাবার তাদের হাতে সময় নেই।
আজ ২৭ আগস্ট শনিবার দুপুরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে ভৈরব উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওয়ালটন মার্কেট চত্বরে আয়োজিত ওই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সময় আরও বলেন-২০১৮ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে দেশটাকে গুম-খুন হত্যা আর হামলা-মামলা নির্যাতনের রাজ্যে পরিণত করেছে। শুধু বিরোধী দল-মত নয়, সাধারণ মানুষকে ধ্বংসের নীলনকশা নিয়ে নেমেছে এই সরকার। তাই জ্বালানী তেল থেকে শুরু করে চাল-ডিমের মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধি করে দেশের গরীব-সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।
এ সময় তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-২০১৮ সালের মতো আরও একটি ষড়যন্ত্র ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। দেশও জনগণ রক্ষায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে।
ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম, রুহুল আমিন আকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
ভৈরব উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাজী মো. শাহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাহার মিয়া, জেলা যুব দলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া প্রমুখ। পরে সমাবেশস্থল থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশস্থলে এসে হাজির হয়। ওইসব মিছিল থেকে সরকার ও আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয় আশে পাশের এলাকা।