ভৈরবে একটি খাবার হোটলে সিলভার কার্প মাছকে রুই বলে বিক্রির দায়ে হোটেল মালিককে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ ৩১ আগস্ট বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ এই জরিমানা করেন। এছাড়াও একই দিনে আরও চারটি হোটেল মালিককে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, আধুনিক যোগাযোগ সমৃদ্ধ শহর ভৈরব। ফলে এই শহরে মানুষজনের আনাগুনাও অনেক বেশি। আর এ সুবাদে বাজার ও রেলওয়ে স্টেশনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে অর্থাৎ দুর্জয় মোড়ের চারপাশে বিভিন্ন খাবার হোটলে ও রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এছাড়াও সিলেট বাসস্ট্যান্ডেও বেশ কয়েকটি হোটেল-রেস্টুরেন্ট গড়ে ওঠে। এসব হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে কোনটি আবার দিবারাত্রি খোলা থাকে। ফলে বেচা-কেনাও অনেক বেশি। কিন্তু এসব হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে খাবার মান এবং দাম নিয়ে অভিযোগের যেন শেষ নেই। বিশেষ করে যারা দূরের যাত্রী তারাই বেশি হয়রানির শিকার হন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফলে ৫টি হোটেল-রেস্টুরেন্টকে সর্বমোট ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে খাবার মান এবং দাম সঠিক রাখতে মূল্য তালিকা টানানোর জন্য সতর্ক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র আরও জানায়, সিলেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেঘনা হোটেল কাস্টমারদের রুই মাছ বলে সিলভার কার্প দিচ্ছে ও ভাত থেকে দুর্গন্ধ আসছে। এমন বাসি খাবার বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ও মূল্য তালিকা না থাকায় এবং রান্না ঘরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে হোটেল রোমান এবং ঝিলিক হোটেলকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মূল্য দুর্জয় মোড়ের আড়িয়ান হোটেল এবং ভৈরব হোটেলকে ৩ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে- জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ।
আপনার মতামত লিখুন :