কিশোরগঞ্জে দলীয় জনসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বড় বড় দলের কাছে যখন কোন কারা নির্যাতিত নেতা তার ত্যাগের কথা বলেন যে তিনি জেল খেটেছেন, তখন তাকে বলা হয় তুমি জেল খাটার যোগ্য, কিন্তু নির্বাচনের যোগ্য নও। আসলে যাদের টাকা আছে তারাই নির্বাচনের যোগ্য তারাই মনোনয়ন পায়। তিনি বলেন, আজকে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, আয় বাড়েনি। মানুষের সংসারে লাল বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে। যারা সংসারে লাল বাতি জ্বালিয়েছে, তাদের মসনদে লাল বাতি জ্বালিয়ে দিতে হবে। কিছু মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। বাকিরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, করোনার কারণে নতুন করে ৩ কোটি মানুষ গরিব হয়েছে। আর আড়াই লাখ মানুষ নতুন করে বেকার হয়েছে। মাথাপিছু আয়ের হিসাব দেয়া হয়, রেমিট্যান্সের হিসাব দেয়া হয়। অথচ ভারত যে রেমিট্যান্স পায়, এর দুই নম্বর উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ। আজকে ঘুষ-দুর্নীতি মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এখন ঘুষের মধ্যেও দুর্নীতি ঢুকে গেছে। কারণ ঘুষ দিয়েও অনেক সময় কাজ হয় না। আজকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে কবর দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে এখন দুই পক্ষই টানাটানি করছে। হেফাজতের সাথে আপোষ করা হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীকেও নাকি ম্যানেজ করা হয়ে গেছে।
জেলা সিপিবির সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সঞ্চালনায় আজ ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে আয়োজিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ, জেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :