সিপিবির সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি দুই দলই বিরাজনীতিকীকরণের বাহন। তারা পদ বিক্রি করে। পদ নিয়ে মারামারি হয়। রাজনীতি এখন ব্যবসা। সংসদে এখন সিংহভাগ এমপিই ব্যবসায়ী। সবচেয়ে বড় লাভজনক ব্যবসা এমপিগিরি করা। কম বিনিয়োগে বেশি লাভ। এখন ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে নেমেছেন। আর রাজনীতিবিদরা ব্যবসায় নেমে গেছেন। এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে চলে গেছে লুটেরা ধনীরা। তিনি আজ ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনীতি ও বাম আন্দোলন প্রসঙ্গে সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন। জেলা সিপিবির সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় সদস্য ও দলের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত, জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও বর্তমান সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, সরকার মাথাপিছু আয়ের হিসাব দেয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বেড়ে মাত্র ১৭০ টাকা হয়েছে। একটি শ্রেণী আরও ধনী হয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে। আজ বিএনপি আর আওয়ামী লীগ এক পক্ষ আরেক পক্ষের প্রতিযোগী, প্রতিপক্ষ নয়। বিএনপি হলো আওয়ামী লীগের দুই নম্বরী বিরোধিতাকারী। তারা গদির বিরোধী, নীতির বিরোধী নয়। এরা লুটপাটের প্রতিযোগী। সিপিবি গদি এবং নীতির বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই, নির্বাচনের নামে প্রহসন হতে দেব না। নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এটা ছাড়া নির্বাচনী তফসিল নিয়ে আলোচনায় গেলে সরকারের ফাঁদে পা দেয়া হবে। সিপিবি আর অন্যের মার্কায় নির্বাচন করবে না। নির্বাচনে সাম্প্রদায়িকতার সুরসুড়ি বন্ধ করতে হবে। এখন শিক্ষা, নৈতিকতা ধংস করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এমপিরা দেশের জন্য আইন প্রণয়ন করবেন। তার জন্য জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষা থাকতে হবে। তাদের নির্বাচনী এলাকায় কি কি উন্নয়ন হবে, সেগুলি স্থানীয় সরকার দেখবে। এখানে এমপিদের হস্তক্ষেপ করা চলবে না। সুধী সমাবেশে গণতন্ত্রী পার্টি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন বাম দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :