জাতিসংঘ কর্তৃক একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন


admin প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ৭:২৮ পূর্বাহ্ন /
জাতিসংঘ কর্তৃক একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন

# মোস্তফা কামাল :-

জাতিসংঘের কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশে সংঘটিত নারকীয় গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন হয়েছ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসররা নারকীয় গণহত্যা চালিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন অনেকদিন ধরেই জাতিসংঘের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে এই গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য। বাংলাদেশ সাপোর্ট গ্রুপ, আমরা একাত্তর এবং প্রজন্ম একাত্তর নামে তিনটি সংগঠন এই দাবি তুলে ধরতে আগামী ৩ অক্টোবর জেনেভায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের একটি হল এক ঘন্টার জন্য বরাদ্দ পেয়েছে। এরা সেখানে ‘বাংলাদেশ একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি ও বিচার চায়’ শিরোনামে একটি সেমিনার করবে। গণহত্যার ওপর পোস্টার, ছবি এবং প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করবে। এসব কর্মসূচির সমর্থনেই আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে জেলা শহরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে ‘আমরা একাত্তর’ সংগঠনের ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধাসহ সামাজের নানা অংশের মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন করা হয়।


বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তুর সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অশোক সরকারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ভূপাল নন্দী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিক, মহিলা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক, নারী নেত্রী সালমা হক, শাহীন সুলতানা ইতি, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তফা কামাল, নিসচা সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া, উদীচীর সম্পাদক স্বপন বর্মণ, সাংবাদিকআলম সারোয়ার টিটু, পরিবেশ আন্দোলনের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান রবিন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা এনামুল হক সেলিম প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, এবার ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের যে ৫১তম অধিবেশন আহবান করা হয়েছে, সেখানে ৩ নম্বর এজেন্ডায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জতিসংঘের কর্তব্য হবে এই অধিবেশনেই বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়া এবং গণহত্যার বিচারের পথ সুগম করা।