# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাস টার্মিনালে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১১ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ। এ ঘটনায় অনির্দিষ্টকলের বাস ধর্মঘট চলছে। জানা গেছে, জোরপূর্বক বাস চালানোকে কেন্দ্র করে টার্মিনালে আজ ১৯ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ চারজন আহত হয়েছেন।
পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মুরাদ রেজা ও শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল জানান, টার্মিনাল থেকে যাতায়াত পরিবহন কোম্পানির ৪০টি বাস চলাচল করতো। কিন্তু কোম্পানির চেয়ারম্যান মানিক সরকারের কাছে কোম্পানির অন্যান্য মালিকদের টিকেট বিক্রি বাবদ ১২ লাখ টাকা পাওনা হয়েছে। টাকা পরিশোধ না করায় টার্মিনাল থেকে মানিক সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্তত ২০টি বাসের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরে মালিক সমিতির নেতাদের মানিক সরকার কথা দিয়েছিলেন, তিনি গত ৩০ নভেম্বর এসব পাওনা টাকা পরিশোধ করে দেবেন। কিন্তু ২৯ নভেম্বর তিনি মালিক সমিতির নেতাদের জানান, ৬ ডিসেম্বর টাকা দিয়ে ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি গাড়ি চালাবেন। ৬ ডিসেম্বরও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি।
আজ সোমবার বিকাল ৩টার দিকে টার্মিনাল কার্যালয়ে শ্রমিক নেতারা এ বিষয়ে সভা করার সময় মানিক সরকারের হয়ে কাঞ্চন, রাসেল, শাহজাহান, বাবু ও মামুনসহ অন্তত ২০ জন সন্ত্রাসী রামদাসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন। এসময় সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। পরবর্তীতে ১১ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন, সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ, মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক, সাধারণ সম্পাদক আলমগী মুরাদ রেজা ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভা করেছেন। তবে মানিক সরকারের মোবাইল নম্বর কারও কাছে পাওয়া যায়নি। ফলে তার সঙ্গে কথা বলাও সম্ভব হয়নি। হামলার পর থেকে টার্মিনাল থেকে সকল বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :