# রাজীবুল হাসান :-
দেশে স্বাধীনতার বিরোধীরা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে শেষ করে দিতে চাই। তারা স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি যারা এই দেশকে ভালোবাসে না মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে না তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে । এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা মাঠে আছি মাঠে থাকবো। আমরা কারো ক্ষতি করার জন্য মাঠে থাকবো না। দেশের স্বাধীনতার বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে মাঠে থাকবো।
আজ শনিবার দুপুর ১ টায় কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সুতি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজ রূপান্তর করায় কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রাজাকার আলবদরের ক্ষমা করেছিলো তারা যেন নিজেদের সংশোধন করতে পারে কিন্তু তারা নিজেরা তাদের ভুল সংশোধন না করে পুর্নরায় তারা ষড়যন্ত্র করে ১৫ আগস্টে স্বপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুতে হত্যা করে। তারা চেয়েছিলো দেশকে ধংব্ব করে দেয়ার জন্যই জাতির জনকে হত্যা করেছিলো। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব দুঃখী মানুষের হাসি ফুটানো জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে সারা জীবন রাজনীতি করেছেন। তাকেই এই দেশের মানুষ কিছু কুচুক্রিকারীরা নৃশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে একা হত্যা করেনি। শুধু বেঁচে যায় বিদেশে অবস্থান করা তার দুই কন্যা। তাদের মধ্য একজন হলে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকেও ২১ বার হত্যার চেষ্টা চালায় ৭১ সালের সেই রাজাকার আলবদরের দলেরা। শুধু তাই নয় বাংলাদেশে আওয়ামীলীগকে শেষ করে দিতে একের পর এক হামলা চালায়। এসব হামলায় আহসান উল্লাহ মাস্টার, এসএম কিবরিয়া, আমার আম্মা আইভি রহমানকে গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে হত্যা করে । সেদিন যদি আমার আম্মার উপর গ্রেনেড না পড়ে ট্রাকের উপর গ্রেনেড পড়তো তাহলে সেদিন দেশনেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে থাকতে পারতো না। সেই দিন কুচুক্রি বিএনপির জামাত দল আমার আম্মাকে চিকিৎসা করতে দিলো না। তারা নিষেধ করে দেয় যেন আমার আম্মাকে কোথাও নেয়া যাবে না।মারা যাবার পর রাত আড়াইটার পর ফোন করে আমাকে বলে আমার আম্মা মারা গেছে তখন আমি আসছি তখন তারা বলে আসতে হবে না। তখন তারা আমার আম্মাকেও দেখতে দেয়নি। সেই বিএনপি এখনোও শুধু মিথ্যাচার করে চলছে। আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করেন দেশে কি দুর্নীতি হয়েছে। ভৈরব কুৃরিয়ারচরে আমার আব্বা ও আমি কি দুর্নীতি করেছি আপনারা বলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত কোন আমলে উন্নয়ন হয়নি। তাদের আমলে শুধু দুর্নীতি হয়েছিলো।
সেজন্যই আপনারদের বলবো নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। তারা তিনবার দেশের ক্ষমতায় ছিলো তারা দেশে কি উন্নয়ন করেছে। কিন্ত দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যে দেশের যে উন্নয়ন করেছে তা সারা বিশ্বের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কখনো ভয় পায় না। আমরা মাঠে আছি স্বাধীনতার বিরোধীদের প্রতিরোধ করতে মাঠে আছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সাথে আমরা আছি। উনি দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছেন। এখন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন আসুন আমরা উনাকে আরেকবার সুযোগ দেয় দেশকে বিশ্বের মধ্য একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলে তার স্বপ্ন পূরণ করুক ।
আপনার মতামত লিখুন :